ইতিকথাঃ প্রায় ১৪-১৫ বছর পূর্বে শিমুলদাইড় বাজারের কয়েকজন দর্জি ঢাকা হতে কম্বলের জুট/ছোট ছোট কম্বলের কাপড় এনে সেলাই মেশিনে জোড়া/সেলাই দিয়ে কম্বল তৈরী করত এবং তা আশেপাশে গ্রামও ইউনিয়নে বিক্রিকরত। তারপরথেকে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দেখলো এ ব্যবসা সম্ভবনাময়। তখন থেকেএলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এ কম্বল ব্যবসায়ে মনোযোগ দেন এবং তারাও ঢাকা থেকে কম্বলের ছোট ছোট কাপড় এনে কম্বল তৈরী করে বিক্রি শুরু করেন। যখন দেখা গেল কম্বল ব্যবসায় প্রচুর লাভ তখন এলাকার ধনী/বৃত্তশালীরাওএ ব্যবসায় বিনিয়োগ শুরু করেন।
বর্তমান অবস্থাঃ বর্তমানে কম্বল শিল্প আরো উন্নত। কারন বর্তমানে কম্বলের ছোট ছোট কাপড়ের সাথে জোড়া বিহীন কম্বলের কাপড় এনে হরেক রকমের কম্বল তেরী করা হয়।
সাশ্রয়ী দামঃ এখানে প্রস্তুতকৃত কম্বলের দাম অন্যান্য দেশী-বিদেশী গার্মেন্টেসে তৈরীকৃত কম্বলের দামের চেয়ে অনেক কম। তাই এ কম্বলের চাহিদা অনেক বেশি।
উপকারিতা/উপকারভোগীঃ দাম কম হওয়ায় এবং এই কম্বল শীত নিবারনের জন্য যথেষ্ট বলে এলাকার হতদরিদ্র/দরিদ্র, দিন মজুর, কৃষকেরা বেশি কিনে থাকেন। তবে বর্তমানে কম্বলের কোয়ালিটি আরও উন্নত হওয়ায় অন্যান্যরাও এ কম্বল ক্রয়ে আগ্রহী।
বর্তমান বাজারঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঢাকাসহ বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতে এ কম্বল বিক্রি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারী ও খুচরা ব্যবাসায়ীরা এসে কম্বল ক্রয় করেন। উত্তরাঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে এটি সুপরিচিতি লাভ করেছে।
ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কর্মসংস্থান তৈরীঃ এই কম্বল শিল্পে কাজ করে অনেক বেকার যুবক-যুবতী তাদের বেকারত্ব দূর করতে সক্ষম হয়েছে। অনেক দিনমজুর/ব্যবসায়ীরাও এই কম্বল শিল্পে কাজ করেন।
আশা ব্যঞ্জকঃ কম্বল শিল্প অত্র ইউনিয়নসহ আশেপাশে অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। কম্বল ব্যবসা করে অত্র এলাকার লোকজনের দারিদ্রতা ঘুচেছে এবং অর্থনৈতিক সফলতা লাভ করেছে। ইতোমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর সহযোগীতায় ৩০ জন মহিলাকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর মাধ্যমে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এতে এ শিল্পের ব্যাপক প্রসারের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS